মিষ্টিকুমড়ার বীজে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিচে মিষ্টিকুমড়ার বীজের কিছু উপকারীতা উল্লেখ করা হলো:
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর
মিষ্টিকুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে।
২. হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
মিষ্টিকুমড়ার বীজে থাকা জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৪. হাড় মজবুত করে
এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক।
৫. শরীরের শক্তি বৃদ্ধি
মিষ্টিকুমড়ার বীজে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
৬. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. চুল ও ত্বকের জন্য ভালো
মিষ্টিকুমড়ার বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮. উপকারী ফাইবার
এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৯. ঘুমের উন্নতি
মিষ্টিকুমড়ার বীজে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদন করে ঘুম ভালো করতে সহায়ক।
১০. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
এতে থাকা ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
খাওয়ার উপায়:
সরাসরি শুকনো ভাজা করে।
সালাদ বা স্মুদি-তে মিশিয়ে।
স্যুপ বা দইয়ের সাথে যোগ করে।
নিয়মিত পরিমাণমতো মিষ্টিকুমড়ার বীজ খেলে স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
Reviews
There are no reviews yet.